চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় ধর্ষণের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বড়গাংনী ইউনিয়ন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মুলাম হোসেন (৫০)। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। এদিকে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন ওই নারী। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ওই নারী বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। অভাবের কারণে তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। পূর্বপরিচিত মিজানুর রহমান ওই নারীকে স্থায়ীভাবে একটি কাজ দেওয়ার কথা বলে গত মঙ্গলবার দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী বাজারে আসতে বলেন। সেই অনুযায়ী ওই নারী আসমানখালী বাজারে গেলে মিজানুর রহমান তাঁকে (নারীকে) স্থানীয় আবদুর রশিদের দোতলা ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে যান। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সেখানে আটকে রেখে আটজন মিলে পর্যায়ক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করে চলে যান। পরে ওই নারী নিজেই বাড়িতে ফিরে যান।

মামলার পর আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ আসামিদের ধরতে রাতে অভিযানে নামে এবং এজাহারভুক্ত আসামি মুলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আর গ্রেপ্তার আসামি মুলাম হোসেনকে আদালতে তোলা হবে।’

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন