ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচারের দায়ে ইসকনের ৪ জন ও অনুসারী ২২ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন প্রবর্তক সংঘের (বাংলাদেশ) সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী।
সোমবার (২৬ জুলাই) পাঁচলাইশ মডেল থানায় মামলা করলেও বুধবার (২৮ জুলাই) জানাজানি হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, লক্ষ্মণ কান্তি দাশ প্রকাশ লীলারাজ, দেবব্রত দাশ প্রকাশ দিব্য নিমাই, রুপন দাশ প্রকাশ রুপেশ্বর এবং আরিয়ান রায়, অরণ্য সি এম, সূত্রধর এস, রুদ্রনীল, ধীমান সেনগুপ্ত, স্বপন কর, শ্রী মেনন, সুমন সাহা, রানা দাশ, হৃদয়, সজল রায়, শ্রুতি দে, অরবিন্দু মোহন, সুপর্না চৌধুরী রোমেল, শ্রীতাদ্বীপ দাশ, এইচএল সিকদার বিজয়, প্রসেনজিৎ ধর, মিটন সুশীল, শ্রী মায়াবন্ধন ত্রিপুরা, রাজ সিং, পপি দাশ ও আশীষ দাশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির বাঁচাও, হোক প্রতিবাদ’ শীর্ষক ফেসবুক আইডি থেকে প্রবর্তক সংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাস চন্দ্র লালা, সহ-সভাপতি অধ্যাপক রণজিৎ কুমার দে প্রমুখের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ ও প্রকাশ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা তৈরির লক্ষ্যে উসকানি দেওয়ার মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেছেন আসামিরা। যা প্রবর্তক সংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্বের সব সনাতন ধর্মাবলম্বীর অন্তরে আঘাত করেছে। এতে প্রবর্তক সংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অনুসারী, পূজারীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে।
২০০৪ সালে মন্দিরের পূজা পরিচালনার জন্য পূজারী নিয়োগের আবশ্যকতা দেখা দিলে ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাশ প্রকাশ চণ্ডী দাশ বালা পূজারীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তদানীন্তন প্রবর্তক গভর্নিং বডিকে অনুরোধ করেন। আলোচনাক্রমে উভয়পক্ষের মধ্যে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে তাকে পূজারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সনাতন ধর্মমতে, মন্দিরের স্বত্ব স্বার্থে ও অর্থে পূজারীর অধিকার নেই। কিন্তু উক্ত ব্যক্তি পূজারীর দায়িত্ব নিলেও নিয়মিত পূজা-অর্চনায় মনোনিবেশ না করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে পূজার দায়িত্ব দিয়ে চুক্তির শর্ত লংঘন করেছেন। চুক্তিপত্র বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়ায় বর্তমানে তারা নানান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
পাঁচলাইশ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ২৬ জনকে আসামি করে মামলা (নম্বর- ১১) দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করার জন্য উপ-পরিদর্শক আফতাব হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাঁচলাইশ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আফতাব হোসেন বলেন, মামলার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি। প্রাথমিক অবস্থায় কাগজপত্রগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।