কচুয়ায় চাঁদা চেয়ে না পেয়ে এবং দোকানঘর আওয়ামী লীগ অফিস হিসাবে ভাড়া দেওয়ার ‘অপরাধে’ সন্ত্রাসীরা এক সংখ্যালঘু মিষ্টি দোকানের মালিককে কুপিয়েছে। হতভাগা মিষ্টি দোকানের মালিক চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার পাশাপাশি প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। সরেজমিন এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার সাচার এলাকায় মিষ্টির দোকানের মালিক চন্দন চন্দ্র ঘোষের কাছে একদল সন্ত্রাসী চাঁদা চায়। চন্দনের একটি দোকানঘর আওয়ামী লীগের অফিস করার জন্য ভাড়া দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকিও দেয়। এ অবস্থায় বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৬ মে সন্ত্রাসী দলের নেতা ছাত্রদল সাচার কলেজ কমিটির সভাপতি ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সশস্ত্র যুবক চন্দনকে জরুরি কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা পুলিশ ফাঁড়ির ২০০ গজ দূরে চন্দনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হামলায় চন্দনের ডান হাত ও ডান পা ভেঙে থেঁতলে দেওয়া হয়। ডাক্তাররা তার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে এখনো উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে সাচার ফাঁড়ির এস আই আমিরুলকে বিষয়টি জানালে তিনি উল্টো চন্দনের পরিবারকে শাসান বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা চন্দনের দোকান ঘরে (যা আওয়ামী লীগের অফিস হিসাবে ভাড়া দেওয়া) হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা চন্দনের বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্য পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে যায়। একদিকে সন্ত্রাসীদের ভয় অন্যদিকে টাকার অভাবে চন্দনের চিকিৎসার ব্যয়বহনও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ভোরের কাগজ, ৩১ মে ২০০২