গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের নয়াসাঙ্গুন এলাকায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রবিবার (১৫ আগস্ট) ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেছেন।
অভিযোগে ছাত্রীর পিতা জানান, তিনি ৮ থেকে ১০ মাস আগে লেবানন থেকে দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন। তার স্ত্রী লেবাননে থাকেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার মেয়ে দাদির সঙ্গে ঘুমাতে যায়। তিনি রাতে দোকানে ঘুমান। রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে অজ্ঞাতনামা তিন ব্যক্তি টিনের ঘরের দরজার শিকল খুলে ঘরে ঢুকে তার মায়ের মুখ ও পা বেঁধে ছুরির ভয় দেখিয়ে ঘুমিয়ে থাকা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশী নয়ন, জামাল ও তার মা দোকানে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে তুলে ঘটনা জানান। পরে তিনি মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ির পাশে মেয়েকে দেখতে পান। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়, অজ্ঞাতনামা তিন ব্যক্তি (তাদের মধ্যে একজন লুঙ্গি-শার্ট পরিহিত ও অন্য দুজন খালি গায়ে লুঙ্গি পরিহিত ছিল) ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে রাত তিনটার দিকে নয়াসাঙ্গুন-ঘোষেরকান্দি সড়কের পাশে পান বরজে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, এক প্রতিবেশীর সাথে দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে। শত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে তার ধারণা। ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজন পলাতক রয়েছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।