কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌর শহরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (২০) তরুণীকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে।

 

এ ঘটনায় ৩০ মে শনিবার সকালে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়েরের পর ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২৮ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুলিয়ারচর পৌর শহরের দোয়ারিয়া গ্রামের দরিদ্র রিকশাচালকের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় পার্শ্ববর্তী মেরাতলী গ্রামের সামু মিয়ার ছেলে মো. রবিন (২৩), দড়িবাগ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মামুন মিয়া (২৫) ও মুর্শিদ মিয়ার ছেলে ইমন (২৪)সহ তিন যুবক।

তারা তাকে বাড়ির পেছনে কয়েকশ গজের মধ্যে অবস্থিত কুমারপাড়া শ্মশানঘাটের এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনার দিন রাতেই পুলিশকে এ ঘটনা জানানো হলেও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে অভিযোগ নিলেও শনিবার সকালে মামলা নেয়া হয়।

এ ছাড়া অন্য কাউকে বাদী করার পরিবর্তে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই ধর্ষিতা তরুণীকে মামলার বাদী করে পুলিশ মামলা নেয় বলেও অভিযোগ স্বজনদের।

এ ছাড়া ঘটনার তিনদিন অতিক্রান্ত হতে চললেও কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে, অভিযোগ পাওয়ার পরও মামলা নিতে বিলম্বের অভিযোগের বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি জানান, এখানে তাদের কোনো অবহেলা নেই। শুক্রবার বিকালে এজাহার পাওয়ার পর ৩০ মে সকালে মামলা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিবারের লোকজনই ওই ভিকটিমকে বাদী করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও দাবি ওসি আবদুল হাই তালুকদারের।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন