কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার সহকারী ও আবাসিক শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝিকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

১৪ নভেম্বর শনিবার সকালে শাহজালাল মাঝিকে কুমিল্লা কোর্ট হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর রাত ১০টায় দেবীদ্বার নিউমার্কেট কলেজ রোডের ‘স্যোশাল ইসলামি ব্যাংকের’ তৃতীয় তলায় অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সকালে ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝিকে একমাত্র আসামি করে দেবীদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এর আগে ভিক্টিমের বাবার একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ( ১৩ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টায় অভিযুক্তকে আটক করা হয়। শাহজালাল মাঝি দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী (উত্তরপাড়া মাঝি বাড়ি) গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম মাঝির ছেলে।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ভিক্টিম শিশুটি ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র এবং আবাসিক কক্ষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে থাকতো। শিক্ষক শাহজালাল প্রায়ই তাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে আসছিলো। ঘটনার দিন তাকে নানাভাবে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং কোরান শরীফ দ্বারা তার মাথা খারাপ করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তার মা ও বাবাকে বললে তারা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে। পরে তারা তারা আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা আবু সাঈদ সোহেল জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে তার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি ও ভিক্টিমসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হোসেন খানের আদালতে ভিক্টিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি, ডাক্তারি পরীক্ষা করা এবং আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নথিভূক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিডি জার্নাল

মন্তব্য করুন