কুমিল্লায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর মিম আক্তার (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

 

নিহত মিম উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের শরীফুল ইসলামের মেয়ে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে শিশুটির লাশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মিম নিখোঁজ হয়।

শিশুটির বাবা শরীফুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তার মেয়ে মিম। পরে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

এদিকে, সেপটিক ট্যাংকে মিমের বস্তাবন্দী লাশের সন্ধান দেয় আবদুল কাইয়ুম (১৬) নামের এক তরুণ। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটক কাইয়ুম ওই মাদ্রাসায় দপ্তরির কাজ করতেন।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ জানান, কাইয়ুমের বাবা আবদুল মবিন গত ৪০ বছর ধরে এ মাদ্রাসায় দপ্তরির কাজ করেছেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যান তিনি। পরে বাবার অনুরোধে পরবর্তী দপ্তরি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১৫’শ টাকা বেতনে মৌখিক নিয়োগে চাকরি করতেন কাইয়ুম।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন