নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ও বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদ উল্যাহ হামিদ।

 

১৫ মে শনিবার তিনি বাদী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। রবিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, জেলা পরিষদ সদস্য আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাসিব আহসান আলাল, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়েদল হক কচি, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন বাদল।

ওসি বলেন, ‘বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ফেসবুক লাইভে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর সামনে ঘোষণা করেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার অনুসারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই মারধরসহ প্রতিরোধ করা হবে। এতে বাদীর নেতা মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মান ক্ষুণ্ন এবং তার অনুসারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজের অভিযোগ তুলে মামলাটি দায়ের করা হয়।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন