মনোহরদী উপজেলার ক্ষিদিরপুর গ্রামে এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর নানা কায়দায় নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ক্ষিদিরপুর গ্রামের মিহির কুমার চন্দ মন্টু এবার ২১ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করেছেন। এখন ধান পেকেছে। পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। ধান কাটতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও তার দলবল বাধা দিচ্ছে। ফলে জমির ধান চোখের সামনে জমিতে পড়েই নষ্ট হচ্ছে। এই পরিবারটি এখন দারুণ অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জমির ধান ঘরে তুলতে না পারলে তাদের এখন না খেয়ে মরতে হবে। এ ব্যাপারে কয়েকবার সালিশ দরবার হয়েছে কিন্তু কোন চূড়ান্ত ফয়সালা হয়নি। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এই পরিবারটি সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পুকুরের প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকার মাছ লুট করে সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়। পরে ৬টি খড়ের গাদাও লুট করে নিয়ে যায়। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে এ গ্রামের পরিমল রায়ের বাড়ির সামনের খড়ের গাদায় দুস্কৃতকারীরা আগুন ধরিয়ে দিলে দু’হাজার টাকার খড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের উত্তাপের ফলে ফল-মূলের গাছগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আরো দরুণ আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ, ৫ জানুয়ারি ২০০২