জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাম্মী আকতার মিলি আত্মহত্যা করেছে। বখাটের যৌন হয়রানির শিকার ওই শিক্ষার্থী অপমান সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে বাঘপাড়া গ্রামের মিলন আকন্দের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে যৌন হয়রানি করে আসছে ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে। এরই মধ্যে গত ৭ নভেম্বর বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে ওই বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নামিয়ে দেয় স্থানীয় শাহিনুর রহমান। এ সময় রফিকুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালায়। তখন ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় রফিকুল পালিয়ে যায়। এর পরদিন রফিকুল ও শাহিনুরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ঘটনার ১০ দিন পর আত্মহত্যা করে ওই শিক্ষার্থী।
ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাকে স্থানীয় দুই যুবক যৌন হয়রানি করেছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও আসামিরা পলাতক। ওই অপমান সইতে না পেরে স্বজনদের অজান্তে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। তদন্ত শেষে তার আত্মহত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।