গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা শুক্কুর আলীর (২৮) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে পূবাইল থানায় মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শুক্কুর আলী পৌরসভার বালিগাঁও এলাকার আবদুল আলীর ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, টঙ্গী সরকারি কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ওই ছাত্রীর বাবা ও মা মারা গেছেন। তাদের বাড়ি কালীগঞ্জে। একমাত্র ছোট ভাই দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন। দাম্পত্য কলহে ভাইয়ের স্ত্রী সম্প্রতি কালীগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে কলেজছাত্রী ও তার ভাইকে। এ ঘটনায় হয়রানি এড়াতে ওই ছাত্রীকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দেন মুরব্বিরা। সংসদ সদস্যের ঢাকার বাসা না চেনায় ওই ছাত্রী সহযোগিতা চান যুবলীগ নেতা শুক্কুর আলীর কাছে।
যুবলীগ নেতা শুক্কুর আলী তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ডেকে নেন। এরপর মোটরসাইকেলে করে কালীগঞ্জ থেকে রওনা দেন। রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রীকে পুবাইল থানার বাড়ৈইবাড়ি এলাকার একটি শুটিং স্পটে নিয়ে যান শুক্কুর। এ সময় ওই ছাত্রীর সন্দেহ হলে চিৎকার শুরু করেন। তখন যুবলীগ নেতা শুক্কর তাকে টেনে একটি ঘরে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে শুক্কুর আলী পালিয়ে যান। পরে এলাকার লোকজন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা শুক্কুরের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে ও বহু নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে।
পুবাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ওই কলেজছাত্রীর তেমন আত্মীয় স্বজন নেই। তিনি সাহায্য চাইতে গিয়ে প্রতারণা শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা শুক্কুর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।