রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রভাবশালী দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে রবিবার (১ নভেম্বর) দিনগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতাসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের দুই নেতা হলেন, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মণ্ডল (৪২) এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মোল্লা (৪৫)। মামলার অপর আসামীরা হলো, নজরুল ইসলাম মণ্ডলের ভাই মোস্তফা মণ্ডল (৩৬), শাওন মণ্ডল (২৮), কাশেম আলী খা (৩৫), মাসুদ মোল্লা (২৫)।

মামলার বাদী রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের ঘিমোড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি দৌলতদিয়া ৬নং ফেরি ঘাটের বিপরীত পাশে নিজস্ব মালিকানাধীন জমি লীজ নিয়ে কয়লা, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসা শুরু করার উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে এক মাস আগে সেখানে কাজ শুরু করলে অভিযুক্তরা তার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এক মাসের মধ্যে নির্ধারিত চাঁদা পরিশোধ না করলে প্রাণনাশের হুমকি ও ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে জানান। গত ৩১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চাঁদার দাবিতে এক শ্রমিককে মারধর করে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তার মামাকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন।

এসময় উল্লেখিত আসামীরা তাকে বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে চাঁদার টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল, তা না দিয়ে কাজ করছিস কেন।’ এসময় তিনি দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নজরুল ইসলাম মণ্ডল ও মোহাম্মদ আলী মোল্লা তাদের কাছে থাকা পিস্তল ঠেকিয়ে তার পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং অবশিষ্ট ৯০ হাজার টাকা ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলেন। সেই সাথে তাকে ও তার মামাকে মারপিট করে আহত করে চলে যায়।

জানা যায়, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম মণ্ডল আওয়ামী লীগ নেতা আবু হত্যা মামলার আসামী। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন