বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের পূর্ব কাহারঘোনা গ্রামের ভলি পাড়ায় নিজ ঘরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অপরদিকে পলাতক রয়েছেন ধর্ষক মো. মাহমুদুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব কাহারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী হলেও ছাত্রীটির বয়স ১২ বছর হবে। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা ঘরে ধর্ষিতা ছাত্রীর দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই চা দোকানে চাকরি করে। আরেক ভাই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের ঘটনার রাতে মাসহ পরিবারের অন্যান্যরা ঘরে ছিলেন না। ওই সময় সুযোগবুঝে পাড়ার ইমাম হোসেনের ছেলে ফিশিং বোটের শ্রমিক মো. মাহমুদুল ইসলাম(২০) ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে এই ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষিতার পরিবারকে থানায় মামলা না করার জন্য হুমকি ধমকি দিতে থাকে ধর্ষকের আত্মীয়-স্বজন। অনেকে ঘটনাটি মীমাংসার জন্যও চাপ সৃষ্টি করে। অবশেষে ধর্ষিতার মা পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল শনিবার রাতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ধর্ষককে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’