চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বাসার মালিক একে খানকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত রেবেকা সুলতানা পলি (১৩) খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার মালয়েশিয়া প্রবাসী ফিরোজ খানের মেয়ে ও নগরীর আহমদ মিয়া সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্ত্তী জানান, ২ অক্টোবর বুধবার রাতে সিএমপির বন্দর থানা পুলিশ স্থানীয় কুড়িপুকুর পাড় এলাকার নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো পলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে তার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাড়ির মালিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
নিহত পলির বড় ভাই রাসেল রানা বলেন, ‘মা সখিনা খাতুন নগরীর সিইপিজেড ইয়ংওয়ানের পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ঘটনার দিন পলি ছাড়া বাসায় কেউ ছিল না। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসায় আসলে ঘরের সামনের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পাই। পলিকে অনেক ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে পেছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পলির ঝুলন্ত লাশ দেখি। এসময় সামনের দরজা খোলা পাওয়া যায়। আমরা যখন পেছনের দরজা ভাঙছিলাম তখনই কেউ একজন ভেতরে ছিল এবং সামনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘ঘরের দরজায় একজোড়া জুতা ও রুমে একটি বটি পাওয়া যায়। আমরা ধারণা করছি পলিকে কেউ ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।’
ওসি সুকান্ত চক্রবর্ত্তী বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এটি হত্যা বলে দাবি করলেও প্রাথমিকভাবে লাশের অবস্থা দেখে আত্মহত্যা বলে অনুমান করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এদিকে পলি ‘হত্যার’ প্রতিবাদে নগরীর আহমদ মিয়া সিটি করপোরেশন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এবং ঘটনার বিচার দাবি করেন।