আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টায় মাদক সেবন ও ইভ টিজিংয়ের অভিযোগে দিদার ইসলাম নামে এক কলেজ ছাত্রকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উজেলার গোপালদি বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে দিদারকে ছাড়িয়ে আনতে গোপালদি তদন্তকেন্দ্রে যান পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা। পুলিশ দিদারকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সুজয় সাহা পুলিকে গালাগালি করেন।
এসময় গোপালদী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) মো. মামুন প্রতিবাদ জানালে তার গায়ে হাত তোলেন ছাত্রলীগ নেতা সুজয় সাহা। হাত তুলে ক্ষান্ত হননি সুজয়, ফোন করে আরো কিছু সঙ্গী সাথী আমদানি করেন। তারপর সবাই মিলে উপস্থিত পুলিশদের মারধর করেন। এসময় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন।
খবর পেয়ে আড়াই হাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন কয়েকজন পুলিশকে সাথে নিয়ে পূর্বে আটককৃত দিদারসহ হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা সুজয় সাহাকে থানায় নিয়ে আসেন।
কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের উপর আক্রমণের মত গুরুতর অপরাধ করলেও সুজয় সাহার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গঠন না করে তাকে ছেড়ে দেন ওসি আক্তার হোসেন। কারণ ছাত্রলীগের মারধরে হয়তো তেমন একটা ব্যথা পায় না পুলিশ।
যা হোক, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিককে জানান, “কালকে এমপি সাব আমেরিকা গেছেন। সব নিজেরা নিজেরা। বিএনপি হইতো একটা কথা ছিলো, ব্যবস্থা নিতে পারতাম।”
এর আগে ২৯ মার্চে একটি সাধারণ ডায়েরিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতারা থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি ধমকি দেয়। তখনো তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
এবার পুলিশকে মারধর করার পরও থানার এমন নির্লিপ্ততা দেখে প্রশাসনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা বিষয়টিকে অপমানের চোখে দেখছেন।
মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষজনের মাঝেও। কেউ কেউ বলছেন, “নিশ্চয় ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে পুলিশের লাভ হয়, নইলে এভাবে চুপ থাকার কথা না।”
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক যুগান্তর