ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের এক ছাত্রী ও তার মা-বোনকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ওই শিক্ষার্থী মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর-৬৫০) করেছেন।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নুল আবেদিন  জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই ছাত্রী বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনে জড়িত নই। দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা এবং বিচারহীনতা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। এসব পোস্টের জেরেই সোমবার রাত ১টার দিকে হাসান আল মামুন নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমার মা-বোনসহ আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।”

ওই ছাত্রী আরও জানান, “হুমকিদাতা হাসান আল মামুন দাবি করেন, তাদের হাজার হাজার কর্মী বাহিনী রয়েছে। তাই তাদের (শিক্ষার্থীর পরিবারকে) ক্ষতি করতে ১ সেকেন্ড দরকার। হুমকিদাতা নিজেকে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তার কর্মী দাবি করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলমের নামও উল্লেখ করেন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা দাবি করেন, রাজনীতিতে জড়িত থাকায় অনেকেই তাকে চেনে, তার নাম জানে। কিন্তু তিনি হয়ত তাদের সবাইকে চেনেন না।

“হতে পারে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ নাম ব্যবহার করেছে। তবে বিষয়টি জানার পরেই এই ফেসবুক আইডির বিষয়ে থানায় জিডি করেছি এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে আমি মনে করি ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের হুমকির ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, “ওই শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা অবশ্যই আমাদের শিক্ষার্থীকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। সে লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ল সেল এবং যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেল সমন্বিতভাবে কাজ করবে। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ওসি জয়নুল আবেদিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী জিডি করেছেন । এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন