জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনের বিরুদ্ধে (৫৩) ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ৩২ বছর বয়সী এক নারী লেখিকা। ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ১১ জুলাই ওই নারী মামলাটি (নং ৮৪/২০১৯।) দায়ের করেন।
পরে আদালতের বিচারক আবু নাসের মো. জাহাঙ্গীর আলম ওই নারীর জবানবন্দি গ্রহণের পর অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি লোটন ‘সিকদার অ্যান্ড পাবলিকেশন’ ও ‘আকাশ পাবলিকেশন’র মালিক। অন্যদিকে বাদী একজন লেখিকা হওয়ায় আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। বাদী ‘সংগঠক ও সংগঠন’ রাজনৈতিক বইটি লিখতে আসামি লোটনের সঙ্গে সহকারী লেখিকা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে আসামির প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ পাবলিকেশন’ হতে প্রকাশিত ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ ছবি অ্যালবামের নির্দেশনা ও অঙ্গসজ্জা হিসেবেও বাদী কাজ করেন। সেই সময় ওই কাজের জন্য বাদী আসামির সঙ্গে দেখা করতেন। তখন আসামি বাদীকে পেলেই বিভিন্ন ইভটিজিংমূলক কথাবার্তা বলতেন। আসামি বাবার বয়সী ভেবে বাদী বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। এছাড়া আসামি বিভিন্ন সময় ফোনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যাসেঞ্জারে বাদীর কাছে নোংরা ছবি পাঠাতো এবং ভিডিও কলে নোংরা প্রস্তাব দিতো। বাদী কঠোরভাবে প্রতিবাদ করতে পারতেন না, কারণ তাকে কাজের জন্য আসামির কাছে যেতে হতো।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছর ১ জানুয়ারি আসামির জন্মদিন হওয়ায় তার অনুরোধে সে রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন বিউটি বোডিং এ আসেন। সেখানে জন্মদিনের কেক কাটার পর আসামি বাদীকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়ীতে তুলেন। পথে ড্রাইভার ও তার সহযোগীদের গাড়ী থেকে নামিয়ে দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর এলাকার একটি নিরিবিলি স্থানে গাড়ী থামিয়ে রাত ৯ টার দিকে গাড়ীতেই বাদীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং সে সময় মোবাইল ফোনে কিছু নোংরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এরপর বাসায় পৌছে দেয়ার সময় হুমকি দেন। বিষয়টি কাউকে জানালে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিবেন। আসামির কাছে নোংরা ছবি ও ভিডিও থাকায় সে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করে। এরপর বিভিন্ন সময় আসামির পাবলিকেশন ও বিউটি বোডিং এ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ আসামি বাদীকে বিয়ে করবে বলে ডেকে এনে গত ৩০ জুন ১২টা থেকে ২টার মধ্যে বিউটি বোডিং এর দোতলার একটি কক্ষে ধর্ষণ করেন।