ঝালকাঠির শেখের হাট ইউনিয়নের পুয়াটন গ্রামের ছাত্রদল ইউনিয়ন সভাপতি বাচ্চু গাজীর দলবল এই এলাকার কতিপয় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার পর এবার দ্বিতীয় দফা হয়রানি করার উদ্দেশ্যে চাঁদাবাজি মামলা করেছে। এই সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর ওপর ইতিপূর্বে হামলা চালানোর পর এলাকার যে সকল লোকজন আহতদের হাসপাতালে এনে ভর্তি করাসহ বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল তাদেরকেও এই হয়রানিমুলক মামলায় জড়িত করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ৮টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে হয়রানির শিকার পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য লিখিতভাবে পেশ করা হয়। গত ২১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় গুয়াটন গ্রামের কার্তিক রায়সহ একই পরিবারের সুকুমার রায়, বিধান রায়, অসীম রায়, ক্ষিতিশ রায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বাচ্চু গাজীর দলবল তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে মহিলাসহ ৬ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে কাত্তিক রায় মামলা করলে বাচ্চু গাজী গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্তি পায়। মামলা দায়ের করার পর থেকে এই পরিবারগুলোর পুরুষ সদস্যরা মূলত এলাকাছাড়া। অন্যদিকে পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট পেশ করার পর ছাত্রদলের নেতা বাচ্চু গাজী বাদী হয়ে গত ৫ জুন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শাহজাহান, গুয়াটন মাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ ফজলুল হক হিরণ ও মোঃ রফিক হাওলাদারসহ সংখ্যালঘু পরিবারের বিমল রায়, বিধান রায়, কার্তিক রায়, সুকুমার রায়কে আসামি করে মামলা করেছে। এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা বাচ্চু গাজীকে ৪ জুন বিকাল ৪টায় মারধর করে তার তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন কালভার্টের জন্য ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, বাচ্চু গাজী নির্মাণাধীন ড্রেনেজ কালভার্টের সাব কন্ট্রাকটর দাবি করলেও এই প্রকল্পে ইউপি সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান কাজ করছেন। আরো দাবি করা হয়েছে, বাচ্চু গাজী স্থানীয় এমপির বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট। এই পরিবারগুলো তাদেরকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

ভোরের কাগজ, ২২ জুন ২০০২

মন্তব্য করুন