ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় ১২ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ওষুধের মাধ্যমে গর্ভপাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কাঠালিয়া থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক মো. রফিককে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক।
রফিক ওই এলাকায় স্ত্রী মাকসুদা বেগমের বাড়িতে বসবাস করে। মাকসুদা ঢাকায় চাকরি করেন। রফিকের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায়।
৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটিকে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাবা দিনমজুর। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে মেজো।
শিশুটির মা বলেন, “রফিক প্রায়ই আমার মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করতো। বিষয়টি আমাদের না জানাতে রফিক হুমকি-ধমকি দেয়। ভয়ে আমার মেয়ে কিছুই জানায়নি। একপর্যায়ে আমার মেয়ে চার মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ ঘটনা রফিক জেনে সোমবার আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ওষুধ সেবনে বাধ্য করে। মঙ্গলবার সকালে মেয়ে আমাদের জানালে আমি থানায় গিয়ে রফিককে আসামি করে মামলা দায়ের করি। ইতোমধ্যে আমার মেয়ের রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে প্রথমে ঝালকাঠি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে শেরেবাংলা মেডিক্যালে নেওয়ার সময় মরা সন্তান প্রসব করে। এরপর মেয়েকে শেরেবাংলা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।”
এ ব্যাপারে ওসি বলেন, ‘আসামি রফিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া ভিকটিমের কাছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদকে পাঠানো হয়েছে। মৃত বাচ্চার ময়নাতদন্ত করা হবে। আসামিকে গ্রেফতারের পর ডিএনএ টেস্ট করা হবে।’ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।