ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জাহিদুল ইসলাম (জিরে) ও স্থানীয় ক্লিনিক মালিক আজাদসহ ৪ জনের নামে ধর্ষণ মামলা করেছেন স্বামী পরিত্যক্তা (৩৫) এক নারী। গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

মামলার আসামিরা হলেন, কোটচাঁদপুর নার্সিং হোম ক্লিনিকের মালিক মো. আজাদ, পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম (জিরে), নার্সিং হোমের নার্স রুমা ও নার্স গোলবানু। এদের মধ্যে গোল বানুকে সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মহেশপুর উপজেলার ঘুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী দুবাইয়ে থাকতেন। সেখান থেকে ফেরার পর কোটচাঁদপুর শহরের নার্সিং হোম ক্লিনিক মালিক মোহাম্মদ আজাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বিয়ের প্রলোভনে পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় ক্লিনিক মালিক তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। পরে তার কাছে ওই ক্লিনিক মালিক ৭ লাখ টাকা দাবি করে বলে টাকা না হলে বিয়ে করবো না।

ওই নারী টাকা দিতে রাজি না হলে ২৬ আগস্ট তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার পর তিনি আবারও দুবাই চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দুবাই যেতে না পারায় তিনি ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ১ জানুয়ারি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা রেকর্ড হয়।

কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম (জিরে) জাগো নিউজকে জানান, ওই নারীকে আমি চিনি না। নির্বাচনে হেরে গিয়ে আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে আমার নামে মিথ্যা মামলা করিয়েছে।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের (ওসি) মাহাবুবুল আলম জানান, গতকাল সকালে ওই নারী ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে আমরা ক্লিনিক মালিক মোহাম্মদ আজাদ, কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামসহ ৪ জনের নামে মামলা রেকর্ড করি।

তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলার ৪ নম্বর আসামি গোল বানুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন