টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মসজিদে অবস্থান নিয়ে তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর বিছানা ও আসবাবপত্র ফেলে দিয়ে মসজিদে তালা লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৫ মে) সকালে উপজেলার বেতডোবা বায়তুল করিম কোর্ট জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, মসজিদে অবস্থান করা নিয়ে বিশ্ব মারকাজ দিল্লি নিজাম উদ্দিন (সাদ) অনুসারী ও মাওলানা জুবায়ের হোসেন ওলামা পরিষদ অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাদপন্থীদের বিছানাপত্র মসজিদের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনার জেরে কালিহাতীতে উত্তেজনা শুরু হলে সাদ গ্রুপের অনুসারীরা থানায় অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে বিশ্ব মারকাজ দিল্লি নিজাম উদ্দিন সাদ অনুসারী হুমায়ন বাঙ্গাল জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বায়তুল করিম কোর্ট জামে মসজিদে ঢুকতে গেলে তারা বাধার শিকার হন। পরে পুলিশের সহায়তায় মসজিদে প্রবেশ করেন।
বুধবার সকালে কয়েকজন এসে তাদের কয়েকজনকে মারধর করে বিছানা ও আসবাবপত্র মসজিদ থেকে ফেলে দেন, যোগ করেন তিনি।
মাওলানা জুবায়ের অনুসারী ওলামা পরিষদের থানা সূরার সাথী মোখলেছুর রহমান মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সাদপন্থীরা মঙ্গলবার মসজিদে প্রবেশ করেন। তাদের অনুমতিপত্রে কালিহাতী উল্লেখ না থাকায় তাদেরকে চলে যেতে বলা হয়। অস্বীকৃতি জানালে তাদের মালামাল বাইরে ফেলে দেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, তাবলিগের দুই পক্ষের মধ্যে মসজিদে থাকা নিয়ে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সাদপন্থীদের বিষয়ে নির্দেশনা থাকায় বুধবার দুপুরে দু’পক্ষকে ডেকে শান্তির জন্য মিমাংসা করে দিয়ে বিশ্ব মারকাজ দিল্লি নিজাম উদ্দিন (সাদ) অনুসারীদের ওই মসজিদে থাকার জন্য বলা হয়েছে।