নিখোঁজের তিন দিন পর ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার একটি বাড়ির নির্মাণাধীন বাথরুমের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মরদেহ। এ ঘটনায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নির্মাণাধীন বাথরুমের মাটি খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান।

নিহত সুমনা হক (৯) শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জুয়েলের মেয়ে ও ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। আর আটক কিশোর একই এলাকার ইয়াসিন হাবীব কাননের ছেলে ও সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর সুমনা নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। এরপর মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হলে তারা জানায়, সেদিন পাশের বাসায় খেলতে যাওয়ার পর থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জানার পর প্রতিবেশী ইয়াসিন হাবীব কাননের বাসায় নজরদারি শুরু করা হয়। তার ছেলের আচার-আচরণে সন্দেহ হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। এরপর তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী তাদের বাড়ির একটি নির্মাণাধীন বাথরুমের ভেতরের মাটি খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। উদ্ধারের সময় তার শরীরে কোনো কাপড় ছিল না, বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি অপারেশন গোলাম মূর্তজা।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত করার পরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন