ঠাকুরগাঁওয়ে এক তরুণীর ধর্ষণের অভিযোগে এক ‘প্রেমিক’ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৪ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের দক্ষিণ বোচাপুকুর গ্রাম থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার যুবক মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনু (৩০) বোচাপুকুর গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে ওই তরুণী (১৯) নিজেই বাদী হয়ে আসামি মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনুর নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলা থেকে উদ্ধৃত করে ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুলাভাইকে সঙ্গে নিয়ে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে পঞ্চগড় বাসস্ট্যান্ডে মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনুর সাথে দেখা হয় ওই তরুণীর। এ সময় মিনহাজুল ওই তরুণীকে তার মোবাইল নম্বর দেন। প্রায়ই ফোনে তাদের কথা হতো। এক পর্যায়ে মিনহাজুলের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকার ধর্ষণ করে ওই যুবক। এর ফলে ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। এরপর থেকে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে টালবাহান শুরু করে মিনহাজুল ইসলাম বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওসি বলেন, “গত ২২ এপ্রিল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তরুণীকে ঠাকুরগাঁও বড়মাঠে ডেকে নেন গ্রেপ্তারকৃত যুবক মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনু। এ সময় ওই তরুণীকে ভ্রুণ নষ্ট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন যুবক। এতে রাজি ছিলেন না তরুণী।”
তবে পরে তরুণীকে ভ্রুণ নষ্ট করার ওষুধ খাওয়ায় মিনহাজুল। এরপর ওই তরুণী তার বাড়িতে চলে আসেন বলে জানান ওসি।
তিনি জানান, এরপর প্রচণ্ড পেটের ব্যাথা নিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই তরুণীকে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। এরপর ২৩ এপ্রিল ওই তরুণীর পেটে থাকা পাঁচ মাসের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যায় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, “শুক্রবার বিকালে জ্যেষ্ঠ মূখ্য বিচারকি হাকিমের আদালতের বিচারক আরিফুল রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন এবং জবানবন্দিতে ওই যুবক তার দোষ স্বীকার করেছেন।”
পরে আদালত তাকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠায়।