প্রাইভেট পড়ানোর পরে ৩য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। ৬ জানুয়ারি রোববার দিবাগত রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামে এঘটনা ঘটে। হত্যার শিকার ওই শিশু শিক্ষার্থীর নাম সুস্মিতা দাস (৯)। সে গাবতলা গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে এবং গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ হত্যাকারি জয়দেব সরকারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। সে গাবতলা গ্রামের নির্মল সরকারের ছেলে এবং বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
নিহত স্কুল ছাত্রীর বাবা প্রশান্ত দাস জানান, তার মেয়ে সুুস্মিতা প্রতিবেশি অম্বিকা সরকারের কাছে প্রাইভেট পড়ে। প্রতিদিনের মতো রোববার বিকালে সুস্মিতা প্রাইভেট পড়তে যায়। এসময় অম্বিকা বাড়িতে না থাকায় তার ভাই জয়দেব সরকার তাকে প্রাইভেট পড়ায়। সন্ধ্যায় সুস্মিতা বাড়িতে ফিরে আসে। কিছুক্ষণ পর জয়দেব সুস্মিতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তার মেয়েকে স্থাণীয় সত্যরঞ্জন দাসের দোকান থেকে খাবারও কিনে দেয় জয়দেব। এরপর থেকে সুস্মিতা নিখোঁজ ছিলো। খোজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ১১ টার দিকে পুকুর থেকে সুস্মিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আশাশুনি থানার ওসি বিল্পব কুমার নাথ সাংবাদিকদের জানান, সুস্মিতাকে ধর্ষন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে জয়দেব। সোমবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র: সমকাল