দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া এলাকায় খাল থেকে এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বেলা ১১টার সময় ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলা, হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

 

নিহত ওই ছাত্রের নাম মো. আবু মুসা (১১)। সে উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া এলাকার মো. শাহিন ইসলামের ছেলে। আবু মুসা শালখুরিয়া ইবতেদায়ি উলুম হাফিজিয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে আবু মুসার বাবা বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

পুলিশ ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান জানান, ওই মাদ্রাসায় মোট ৭৩ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। শনিবার রাতে একসঙ্গে খাওয়া শেষ করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষক হাজিরা নেওয়ার সময় দেখেন আবু মুসা অনুপস্থিত। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসায় এসে জানান, খালের পাড়ে এক ছাত্রের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মাদ্রাসার ১৫০ গজ দূরে আবু মুসার লাশ দেখতে পায় শিক্ষার্থীরা। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা পুলিশকে বিষয়টি জানান।

মাদ্রাসার সুপার মো. হুমায়ুন কবির (২৭) বলেন, আবু মুসা কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী। হাফেজি বিভাগে পড়ে ১৮ জন। তারা ফজরের নামাজের পরে পড়তে বসে। কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থীরা নামাজ শেষে পুনরায় ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ১০টায় তাদের ক্লাস শুরু হয়। ফজরের নামাজের আগে শিক্ষার্থীরা আবু মুসাকে মাদ্রাসায় দেখেছে। কিন্তু পরে সকাল সাড়ে ছয়টার সময় এলাকাবাসী তার লাশ দেখতে পায় একটি খালে।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুসার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আবু মুসার ডান হাতের কবজির মাংস ছিঁড়ে গেছে। পায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁর গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্ন আছে।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন