সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ‘যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগে অভিযুক্ত রহম আলীকে (৫৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

১৯ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে রহম আলী সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও এসআই কাজল মিয়া সমকালকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

গত বুধবার রাত ১টার দিকে ‘নিপীড়নের শিকার’ শিশুটির মা বাদী হয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়াবন্দ বাগার বাড়ির রহম আলীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়,শিশুটি গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রহম আলী ঘরে টিভি দেখতে গিয়েছিল। তখন রহম আলীর স্ত্রী ও সন্তানেরা বাড়িত ছিল না। সেই সুযোগে রহম আলী শিশুটিকে একা পেয়ে যৌন নিপীড়ন করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালান। পরে শিশুটি কোনো রকমে সেখান থেকে ছুটে বাড়িতে আসে।

শিশুর অস্বাভাবিক আচরণ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে যৌন নিপীড়নের চিহ্ন দেখে তার মায়ের সন্দেহ হয়। পরে শিশুটির শরীরে ব্যথা অনুভূত হলে সে মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। খবর পেয়ে শিশুর বাবা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যান।

এসময় অভিযুক্ত রহম আলীর ভাই রাসটো মিয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নয়ন মিয়া ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিনের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে রহম আলীর ভাই রাসটো মিয়াসহ তাদের লোকজন এবং শিশুটির পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রহম আলী তার অপরাধ স্বীকার করে। কিন্তু বিষয়টি অমীমাংসিত রেখেই বৈঠক ভেঙে যায় এবং নয়ন মিয়া ও রোকন উদ্দিনসহ অন্যান্যরা সেখান থেকে চলে যান।

পরে রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং রাত ১টার দিকে শিশুটির মা বাদী হয়ে রহম আলীকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালো পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

সমকাল

মন্তব্য করুন