গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের শাহবাজপুর এলাকায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগ তুলে জয়নাল আবেদীন নামে এক কলামিস্ট ও পল্লী চিকিৎসকের জানাজা ও লাশ দাফনে বাধা দিয়েছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ও তার অনুসারী মাদ্রাসা ছাত্ররা।

 

এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে পুলিশি পাহারায় তার জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়। পরিবারের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।

মৃত ব্যক্তি কালিয়াকৈর উপজেলার মহরাবহ এলাকার বরকত আলীর ছেলে ডা. জয়নাল আবেদীন (৬১)। তিনি একাধারে একজন কবি, কলামিস্ট ও পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় মহরাবহ পাঁচ গ্রাম নামে একটি কবরস্থানে ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবশেষে রোববার বিকালে তিনি তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।

সোমবার বেলা ১১টায় তার জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। ওই নির্ধারিত সময়ে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা তাদের যৌথ কবরস্থান মহরাবহ পাঁচগ্রাম কবরস্থানে নিয়ে যান। এ সময় মহরাবহ জামে মসজিদের ইমাম ফতোয়াবাজ ইব্রাহীম ও স্থানীয় মাতুব্বর আলী হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন স্থানীয় যুবক ও মাদ্রাসাছাত্র সেখানে হাজির হন।

তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগে লাশ অবরোধ করে রাখে ও তার লাশ দাফনে বাধা দেন। লাশ দাফনে বাধাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে ওই কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মৃতের ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা অতীতে জলবায়ু বিষয়ক একটি বই লিখেন। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সমাজচ্যুত করে রাখা হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন