লালমনিরহাটের অপহরণের পর ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ মামলা এজাহারভুক্ত না করায় এবং পুরো পরিবারকে অবরুদ্ধ করে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে রংপুরে পালিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলনে বিচার চাইলো নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রী।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভোরে লালমনিরহাট থেকে পালিয়ে এসে দুপুরে রংপুর সিটি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতা ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থী । এ সময় ওই ছাত্রীর বাবা, ছোট ভাইসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, লালমনিরহাট জেলার দ্বাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী কলেজে যাওয়া আসা ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় একই এলাকার মনির হোসেন প্রায়ই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। গত ১১ আগস্ট ওই শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে ঔষধ কিনতে বাজারে যাওয়ার পথে মনির ও তার সহযোগী তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাকে জোর করে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে এক বাড়িতে আটকে রেখে ১২ আগষ্ট থেকে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত ৫ দিন তাকে ধর্ষণ করে। এরপর মনির তাকে মাইক্রেবাসে করে তাকে লালমনিরহাটে নামিয়ে দেয়। তারপর থেকে মনির ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।
এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ৮ দিন পরেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। উল্টো মনির ও তার ক্যাডাররা ওই ছাত্রীর পরিবোরকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ি থেকে পালিয়ে রংপুর চলে আসা তারা।
নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, “আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবার ঘটনায় থানায় ১১ আগস্ট জিডি করি যার নম্বর- ৫৪০। এরপর ১৬ আগষ্ট তারিখে লিখিত অভিযোগ দেবার পরেও পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেনি।”
অভিযুক্তরা তার মেয়ে ও তার পরিবারকে প্রালনাশের হুমকি দিচ্ছে ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটছে বলেও জানান তিনি। ধর্ষক মনির ও তার সহযোগী আব্দুল হককে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি তার।
এ ব্যাপারে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।