ঢাকার ধামরাইয়ে অপহরণের পর এক কিশোরীকে নিজ বাড়িতে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই বখাটে তরুণ অপহৃত কিশোরীকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।

 

বিষয়টি থানা পুলিশ করতে না দিয়ে ফারুক হোসেন নামে স্থানীয় এক ইউপি মেম্বার আপস-মীমাংসার চেষ্টায় শুক্রবার দিনভর দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে সিংচড়ি খালপাড় নয়াপাড়া এলাকার মো. আব্দুর রহিমের ছেলে জামিল হাসান (২২) পাশের গ্রামের এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানায় ওই কিশোরী। এ নিয়ে ওই বখাটের পরিবারকে অবহিত করা হয়।

এতে ওই বখাটে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী শুক্রবার সকালে ওই বাড়িতে এসে ভিড় জমান।

পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ওই যুবক কৌশলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে অপহৃত কিশোরীর মা-বাবা ও গ্রামের লোকজন ওই বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেন এ বিষয়টি থানা পুলিশকে না জানানোর জন্য অপহৃত ওই কিশোরীর মা-বাবাকে চাপ দেন এবং স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন।

অপহৃত ওই কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে ওই বখাটে ছেলে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত ও কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা গ্রামহিতৈষীদের মাধ্যমে তার পরিবারকে অবহিত করি। এরপর সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করে তার সর্বনাশ করেছে। আমি এর বিচার চাই। ফারুক মেম্বার আমাকে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাতে দিচ্ছে না।

ফারুক মেম্বার বলেন, ‘বাঘে ছুলে আঠারো ঘা আর পুলিশে ধরলে ৩৬ ঘা’। তাই বিষয়টি নিজেরাই মীমাংসা করা ভালো। সেজন্য মেয়ের বাবাকে অনুরোধ করেছি।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন