নওগাঁর মান্দায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং আপত্তিকর অবস্থার ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে এক কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে নাহিদ হাসান নান্নু নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

 

ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম ইউপির বিলদুবলা গ্রামে। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান, তারা অনেক গরীব এবং অসহায়, আর তাই বর্তমানে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদেরকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করায় তারা আইনের আশ্রয় নিতেও ভয় পাচ্ছেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই বখাটে যুবক পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্নুর বাড়ি একই গ্রামে এবং দুঃসম্পর্কের চাচা হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত উভয়ের বাড়িতে অবাধে যাতায়াত ছিলো। এরই একপর্যায়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে এবং চাকুরীর অজুহাত দেখিয়ে বেশকিছুদিনের জন্য ঢাকায় নিয়ে যান ওই লম্পট চাচা। এরপর তারা দুজনে ঢাকাতে স্বামী- স্ত্রী পরিচয়ে থাকতো। সম্প্রতি করোনার কারণে তারা দুজনেই ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু ঢাকায় থাকা অবস্থায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করায় ২/৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কলেজছাত্রী। এরপর গত ২৬ মে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সাবাইহাটের একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই বখাটের নানীর মাধ্যমে নিয়ে গিয়ে ওই কলেজছাত্রীর গর্ভপাত করানো হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।ভুক্তভোগীর মা এবং বাবা বলেন, আমরা খুব গরীব এবং অসহায় মানুষ। একদিন কাজ না করলে আমাদের জীবন চলে না। আমাদের মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে, আমরা তার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোন ছাড় নেই। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন