নাটোরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও গ্রাম প্রধানদের বিরুদ্ধে।

 

৯ জুন  মঙ্গলবার রাতে নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় সালিশে আসতে দেরি করায় ভুক্তভোগীর বাবাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম  বলেন, ‘গত ২৯ মে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের সময় তার চিৎকারে অভিযুক্ত একজনকে হাতে-নাতে আটক করে এলাকাবাসী।’

‘পরে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ করলে গত ৩০ মে নাটোর সদর থানায় তাকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী। পুলিশ অভিযুক্তকে জেল হাজতে পাঠায়।’

‘এরপর গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রামে সালিশ ডেকে ভুক্তভোগীকে অপবাদ দিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেসময় সালিশে আসতে দেরি করায় ভুক্তভোগীর বাবাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান এবং অন্যান্য গ্রাম প্রধানগণ,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে রাত ১১টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিন ও সোবহান আলী নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা  বলেন, ‘রাতে সংবাদ পেয়ে অভিযুক্ত গ্রাম প্রধানদের আটক করে আনা হয়। ধর্ষণ মামলার সালিশ করার এখতিয়ার কারো নেই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী প্রধান মোবাইল ফোনে  বলেন, ‘সেই নারীর অপরাধে তার দুবাইপ্রবাসী স্বামী এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে চান। সেই টাকার কথাই সালিশে বলা হয়েছে।’

ডেইলি স্টার

মন্তব্য করুন