লালমনিহাটে একটি হিন্দু পরিবারকে গ্রাম থেকে উচ্ছেদের হুমকি ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদাহ (মণ্ডলের হাট) গ্রামের রাখালচন্দ্র রায় ও তার পরিবারকে গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার জন্য একটি সন্ত্রাসী পরিবার উঠেপড়ে লেগেছে।

গ্রামের জিল্লুর রহমান জিল্লা তার স্ত্রী লাইলী বেগম ও ছেলে হাফিজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ও ওই নিরীহ ও অসহায় রাখালচন্দ্রকে তার জমি ও বসতবাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করতে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ মে অসহায় দিন্দু রাখালচন্দ্র ও তার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও তার বাড়িঘর ভাঙচুরসহ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে জিল্লা ও তার স্ত্রী লাইলী।

তারা হাতে লাঠিসোটা, দা, কুড়ালসহ রাখালের ঘরে বিভিন্ন জায়গায় চোট মেরে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে ফেলে। রাখাল ও তার স্ত্রীকে বিভিন্ন মারধর করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে রাখালচন্দ্র সাংবাদিকদের জানান।

আগুন নিভানোর জন্য দ্রুতগতিতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ত্রাসী জিল্লা ও তার স্ত্রী লাইলীর ভয়ে ওই গ্রাম থেকে প্রমোথ চন্দ্র, ভজেন্দ্রনাথ রায়, রমনীকান্ত, গনেষ চন্দ্র রায়, মনিন্দ্র চন্দ্র রায় ও মনোরঞ্জন রায়সহ ছয়টি হিন্দু পরিবার গ্রাম ছেড়ে জীবনের ভয়ে অনত্র পালিয়ে গিয়ে বসবাস করছেন।

পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে মনোরঞ্জন রায়ের ৭২ শতাংশ জমি সেখানে রয়ে যায় এবং জমিতে বাশ ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা লাগানো ছিলো। সন্ত্রাসী জিল্লা ও তার স্ত্রী লাইলী জমিতে থাকা ৫০টি বাঁশ কেটে নিয়ে যায় এবং প্রায় ১০০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলে।

বর্তমানে রাখালচন্দ্র ও তার পরিবার সন্ত্রাসী পরিবারের জন্যে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের ভয়ে রাখালচন্দ্র বাদি হয়ে ৩১ মে সন্ত্রাসী জিল্লা ও তার স্ত্রী লাইলী বেগম ও ছেলে হাফিজুলের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ খানা পাওয়ার পর সদর থানার এসআই হাফিজুল ইসলাম হাফিজ অভিযোগের তদন্ত করতে আসেন।

তদন্ত করে ও এলাকাবাসীর ওপর সত্যতা জানতে পারার পরও এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে রাখালচন্দ্র সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন।

বর্তমানে রাখাল চন্দ্র ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আমার সংবাদ

মন্তব্য করুন