নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের মানববন্ধনে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পুলিশ ব্যানার ছিনিয়ে নেয়।
২০ জুলাই শনিবার বিকেলে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। বিকেল সাড়ে চারটায় মানববন্ধন শুরু করা হলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশ এসে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মানববন্ধন শুরু করার ১৫ মিনিট পর কাজী মাসুদ আচমকা ব্যানার ধরে টান দেন। এসময় পুলিশের অন্য সদস্যরাও এসে যুক্ত হলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এই ঘটনায় গণসংহতির জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক নেতা শুভ দেব, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা আল আল মামুনসহ আট জন আহত হন।
পুলিশের এই আচরণে নিন্দা জানিয়ে গণসংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের অনুমতি নিয়েছিলাম। এর পরও পুলিশ বারবার বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে আমাদের লাঠিপেটা করে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমরা এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যত বাধা, হামলাই হোক আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, করোনা সংক্রামণ রোধে লকডাউনের মধ্যে আমরা তাদের কর্মসূচি পালন করতে নিষেধ করেছিলাম। তাছাড়া কর্মসূচির জন্য কোন অনুমতিও নেয়নি। সেজন্য তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি।