নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিক্ষককর্তৃক ২০ জনেরও বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার দশেরও অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

নারায়ণগঞ্জ

ছবিঃ ধর্ষক মাদ্রাসা অধ্যক্ষ  মাওলানা মো. আল আমিন

৪ জুন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে একাধিক অশ্লীল ভিডিও জব্দ করে র‌্যাব-১১।

আটক অধ্যক্ষের নাম মাওলানা মো. আল আমিন। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁই য়াপাড়া এলাকায়।তিনি বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি ফতুল্লা এলাকার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  জানান, গত সিদ্ধিরগঞ্জে ২০ এর অধিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই শিক্ষককে গ্রেফতারের সংবাদটি টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ও পত্রপত্রিকায় ছবি দেখে উক্ত মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী তার মাকে জানায় ‘আমাদের আল আমিন হুজুরও তো আমাদের সাথে এরকম করে’। এ সময় শিশুটি তার মায়ের কাছে বিস্তারিত ঘটনা জানায়।

পরে শিশুটির মা ঘটনাটি র‌্যাবকে জানালে ওই মেয়ের জবানবন্দি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে র‌্যাব। অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু ঐ শিক্ষার্থীই নয়, ২০১৮ সাল থেকে অর্থাৎ গত এক বছর যাবৎ ঐ মাদ্রাসার তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অন্তত ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন অধ্যক্ষ । এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিও করেছেন।

তিনি আরো জানান,আটক অধ্যক্ষ আল আমিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ, ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।তিনি (আল আমিন) জানিছেন, তিনি পরিবারসহ মাদ্রাসার ভেতরেই থাকতেন। বাসায় তার স্ত্রী না থাকলে এবং মাদ্রাসা ছুটি থাকলে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নানাভাবে শিক্ষার্থীদের কখনও ধর্ষণ, কখনও ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করতেন। তবে তার দাবি, তিনি আগে এমনটা ছিলেন না, শয়তানের প্ররোচনায় পরে তিনি এমনটা করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষের শাস্তির দাবি ও মাদ্রাসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন