ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় গৃহপরিচারিকা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার স্বামী নেই, ছেলেও নেই। মানুষের বাসায় কাজ করে খাই। একমাত্র মেয়ে ছয় মাস ধরে স্থানীয় পীযূষ কান্তির বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি কিশোরীকে বাড়ির দায়িত্ব বুঝে দিয়ে সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথে তীর্থস্থান দর্শনে যান পীযূষ ও তার স্ত্রী। পরদিন রাতে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যায়। এ সময় খাগালিয়া গ্রামের রামনাথ দাসের ছেলে সঞ্জিত দাস ছুরি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। মামলার বাদী জানান, ঘটনার পরদিন বিষয়টি স্থানীয় রামু দাসকে জানানো হয়। তখন তিনি জানান, পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও আড়াই লাখ টাকা দিলে মেয়েটিকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে এ বিষয়ে রামু দাস বলেন, ‘আমি এক ভরি স্বর্ণ ও এক লাখ টাকার কথা বলেছি।’
বাদী আরও জানান, রামু দাসের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল মিয়াকে জানানো হয়। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। পরে ২ মার্চ আদালতে মামলা করা হয়। মামলার পর আসামিপক্ষ তাদের ওপর দুইবার হামলা করেছে। মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে।
অভিযুক্ত সঞ্জিতের বড় ভাই বলরাম দাস বলেন, ‘ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে শেষ করার জন্য আলোচনা চলছে। আমরা ভুক্তভোগীকে দুই শতাংশ বাড়ির জমি দেব এবং আমার ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেব।’
নাসিরনগর থানার ওসি সাজেদুর রহমান জানান, থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।