নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী তারামনি বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। 

 

ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আহারকান্দর গ্রামে।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহারকান্দর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সধন পাহানের কেটে রাখা ধান  ছাগলে খাওয়ার জের ধরে তাঁর দুই ছেলের সাথে ছাগলের মালিক ও স্থানীয়দের সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে, ঐ গ্রামের মানিক প্রামানিকের স্ত্রী শিউলি বেগম (৩৫), হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ইসমোতারা বেগম (৪০), মানিক প্রামানিকের কন্যা কাবেরী (২২), নইমুদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (৪২) এবং নিমদীঘি গ্রামের লটু ইসলামের ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) তাদের ঘিরে ছাগল কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে, চড় থাপ্পর মারে এবং বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় তাদের পিতা সধন পাহান এগিয়ে আসলে তারা তাকে বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে।  জালাল উদ্দিন ও ইসমোতারা ইট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করলে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার জন্য নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সধন পাহান মৃত্যুবরণ করে।

নিহতের স্ত্রী তারামনি বলেন, তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা অসহায় আদিবাসী বলে যেন আমাদের অবহেলা না করা হয়। সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার যেন আমরা পাই।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, মামলা হয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পদ্মা টাইমস

মন্তব্য করুন