শ্মশানের জায়গার মালিকানা দাবি করে লাশ দাহ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাধার কারণে লাশ ২৪ ঘণ্টা পড়ে ছিল। পরে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে লাশ দাহ করা হয়।

 

নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে রনচন্ডি ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া গ্রামে বুধবার (১৭ জুন) এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, হিন্দুপাড়া গ্রামের সুরেশ মহন্ত বর্মন (৯৫) বার্ধ্যক জনিত কারণে বুধবার রাতে মারা যান। তার করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিন্দুপাড়ার লোকজন গ্রামের শ্মশানে লাশ দাহ করতে নিয়ে যায়। এসময় পাশ্ববর্তী উত্তরপাড়া গ্রামের মাহাতাবের ছেলে আজাহার, মহম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরসহ অনেকে বাধা দেয়। তারা শ্মশানের জায়গার মালিকানা দাবি করে লাশ দাহ করতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়।

ওই গ্রামের ইদ্রিস আলী চৌধুরী বলেন, ‘হিন্দুপাড়ার শ্মশানটি শত বছরের প্রতিষ্ঠা। এখন শ্মশানের জমির মালিকানা নিয়ে কোনও দাবি কারও থাকতে পারে না।’
পরে বিষয়টি সুরেশ মহন্তের ছেলে রুহী মহন্তসহ হিন্দুপাড়ার লোকজন কিশোরীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আবেদন করে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে ডেকে লাশ দাহের ব্যবস্থাসহ ঘটনা সমাধানের চেষ্টা চালায়। কিন্তু শ্মশানের জমির মালিকানা ও করোনা উপসর্গে বৃদ্ধ মারা গেছে এমন অভিযোগ তুলে উত্তরপাড়া গ্রামের মানুষজন লাশ দাহ করতে দেবে না বলে অনড় থাকে। এমনকি বেশ কিছু লোকজন এসে বাঁশের চিতা ভেঙে দেয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর উত্তরপাড়া গ্রামবাসীর সঙ্গে বিষয়টি বুঝিয়ে ওই শ্মশানে লাশ দাহ করতে সক্ষম হয় পুলিশ ও প্রশাসন।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন