বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের একটি পূজামণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং অন্য একটি মন্দিরের ভেতরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এসব ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে আটক করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সিকদার।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার জানিয়েছেন যে উপজেলার ছয়আনি বাজারের একটি পূজামণ্ডপে হামলা ও আগুন লাগানো হয়েছে গত রাতে।
“পুলিশ ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ নেয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে এখন আইনি প্রক্রিয়া চলছে,” সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি বিবিসিকে এ কথা বলেন।
উপজেলার এই শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান যে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। “হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আজ প্রতিমা বিসর্জন করছেন। আমি সেখানেই আছি।”
উপজেলার এখলাসপুরের একটি মন্দিরে সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে মিজ নাহার বলেন যে সেখানে একটি মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও আর কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর তারা পাননি।
মন্দিরে কারা হামলা করেছে বা ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যক্তি পূজামণ্ডপে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
“আগুনে পুরো মণ্ডপ না পুড়লেও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুড়েছে। আমরা তিনজনকে আটক করেছি,” বলছিলেন তিনি।
বুধবার কুমিল্লার নানুয়ারদীঘি এলাকায় একটি পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়ার পর বিভিন্ন জেলায় পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতেই কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলা হয় এবং এ নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে।
এদিকে, খুলনায় রুপসা ফেরিঘাট এলাকার একটি মন্দিরের প্রবেশ পথের পাশ থেকে ১৮টি বোমা উদ্ধার করেছে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পূজা কমিটি র্যাবকে বিষয়টি জানালে তারা এসে বোমাগুলো উদ্ধার করে।
পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ২২টি জেলায় বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করেছে।
মণ্ডপে ও মন্দিরে হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।