নোয়াখালীর সেনবাগের কানকিরহাট ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে পালাতে গিয়ে শিশু সাজিদের পর সাইফুল নামে আরও এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
চারতলা ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামকে (১১) ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। সে ওই মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। নিহত সাইফুল ইসলাম ডমুরিয়া ইউনিয়নের জোড়াতোলা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
এর আগে একই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র জহিরুল ইসলাম সাজিদও পালাতে গিয়ে মারা গেছে।
সেনবাগ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন জানান, ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১১টার দিকে কানকিরহাট ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে পালাতে গিয়ে চারতলা ভবন থেকে পড়ে যায় জহিরুল ইসলাম সাজিদ ও সাইফুল ইসলাম। গুরুতর আহত দুইজনকে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম সাজিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মঙ্গলবার রাতে সেও মারা যায়।’
ওসি আরো জানান, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত মাদ্রাসায় আসতে চাইত না। অভিভাবকেরা তাদের জোর করে মাদ্রাসায় দিয়ে যান। এ কারণেই হয়তো তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।
এ ঘটনায় নিহত সাজিদের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে আটক করেছে।
জানা গেছে, পালানোর ব্যাপারে উদ্বেগে আছেন ওই মাদ্রাসা ছাত্রদের অভিভাবকরা।