নড়াইলের লোহাগড়ায় এক কিশোরীকে অপহরণ করে আটক রেখে গণর্ধষণ ও ধর্ষণের ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

 

২৭ মে বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি বিপ্লব শরীফকে (৩৫) আটক করেছে।

বিপ্লব লোহাগড়ার নখখালী গ্রামের লতিফ শরীফের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলার মশাখালী গ্রামের রেজাউলের (৩০) সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে লোহাগড়ার চাকুলিয়া গ্রামের ১৫ বছরের এক কিশোরীর। গত ৯ মে ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রেজাউল ও তার বন্ধু বিপ্লব শরীফ বাড়ি থেকে ফোন করে নালিয়া বাজার এলাকায় ডেকে আনে।

পরে সেখান থেকে কৌশলে কিশোরীকে তারা অপহরণ করে নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকায় রেজাউলের ভাড়া বাসায় ১২ মে পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে এবং সেখানে রেজাউল ও বিপ্লব ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও তার ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে।

পরে ওই বাসায় অপহৃত কিশোরীকে ধর্ষণের ধারণকৃত ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে রেজাউল ও বিপ্লবের সহযোগিতায় অন্য বন্ধু ও মামলার আসামি নড়াইল সদর থানার জিকড়া গ্রামের মো. আলী, কোমখালী গ্রামের সৈয়দ আলী, লিটন ও লোহাগড়ার মশাঘুনি গ্রামের মইনুল ইসলাম পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসছিল।

গত ১৩ মে রেজাউলের বাসা থেকে স্থান পরিবর্তন করে ওই কিশোরীকে নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের জিকরা গ্রামে আয়শা খানমের বাড়িতে ১৭ মে পর্যন্ত আটক করে রাখে। সেখানেও ধর্ষণের ধারণকৃত ভিডিও প্রচারের ভয় দেখিয়ে ওই ধর্ষকরাসহ আরও ৫-৬ জন মিলে কিশোরীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে আসছিল।

একপর্যায়ে ১৮ মে ভোরে সেখান থেকে কৌশলে ওই কিশোরী পালিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে যায় এবং বিষয়টি পরিবারের লোকজনদের জানায়। পরে এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনার সহযোগী আয়শা খানমসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের নামে অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আসামি বিপ্লব শরীফকে বৃহস্পতিবার আটক করে বিকালেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন