পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামের এক পল্লি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পুঁইবিল গ্রামে ১৪ মার্চ শনিবারের এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দু’পক্ষকে ডেকে নিয়ে সাদা কাগজে সই নিয়েছেন।
অভিযুক্ত রফিকুল একই ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় অভিযোগ দিতেও ভয় পাচ্ছে ওই ছাত্রীর পরিবার।
ওই ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে খালি বাড়িতে একা টিভি দেখছিল মেয়েটি। ওই সময় বাড়িতে দোকানের হালখাতার কার্ড নিয়ে হাজির হয় অভিযুক্ত রফিকুল। মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে রফিকুল তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে রফিকুল তার হাতে ২০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর মা বাড়িতে এলে পুরো ঘটনা খুলে বলে মেয়েটি। এলাকায় জানাজানি হলে ওইদিন রাতে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ-বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ প্রনোর নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার সরদার, গ্রামপ্রধান আবু বক্কার খাঁ ও আবুল প্রামাণিক উপস্থিত থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় অভিযুক্ত রফিকুলকে। এ সময় ছাত্রীর পরিবার বিচার না মানলে চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সবাই তাদের ভয়ভীতি দেখান। কিন্তু মেয়েটির পরিবার টাকা নয়, সুষ্ঠু বিচার চান- এমন দাবি করলে চেয়ারম্যান তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর রেখে দেন।
মেয়ের বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সমকালকে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ বলে কি সমাজে বিচার পাইব না। আমাগো ইজ্জতের কি দাম নাই। আমরা টাকা চাই না, বিচার চাই।’