পারিবারিকভাবে ভালো সম্পর্কের সুযোগে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট করতেই পাবনায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ স্ত্রী-সন্তানকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে জড়িত মসজিদের ইমামকে।
রোববার (৭ জুন) সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পরই রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয় ফায়ার সার্ভিস মসজিদের ইমাম তানভীরকে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, লুট করা ২ লাখ টাকা, এক লাখ ভারতীয় রুপি ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করতে, প্রথমে হত্যা করা হয় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জব্বারকে। পরে স্ত্রী ছুম্মা বেগম ও মেয়ে সানজিদাকেও হত্যা করেন তানভীর।
৫ জুন শুক্রবার দুপুরে পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের পরিবারের সদস্যদের সাড়া শব্দ না পেয়ে খোঁজ নেন প্রতিবেশীরা। এ সময় জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর লাশ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে ঘরের তালা ভেঙে মা-বাবা ও স্কুলপড়ুয়া মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানান, পশ্চিম পাশের জানালা খোলা। ওপাশ থেকে কোনো লোক যেতে গিয়ে গন্ধ পেয়ে জানালা দিয়ে দেখে লাশ পড়ে আছে।
ওইদিন পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, তিনটা ডেডবডি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে তাদের খুন করা হয়েছে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তিন থেকে চার দিনে আগের লাশ।