দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দিপ্তী রানী দাস (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ। ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত দিপ্তী রানী দাসকে দিনাজপুর জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলা শহরের মোজাফ্ফর নগর মহল্লার অধিবাসী হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস ও অনিকা দাসের কন্যা কলেজ ছাত্রী দিপ্তী রানী দাস ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত হেনেছে এবং কোরআন শরীফ অবমাননা করেছে বলে গুঁজব ছড়ানো হয়। স্থানীয় উগ্রপন্থী মুসলমানরা ২৮ অক্টোবর বুধবার রাতে তৌহীদি জনতার ব্যানারে পার্বতীপুর শহরে দিপ্তীর গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
উগ্রপন্থী মুসলমানদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে পার্বতীপুর মডেল থানার এস আই (নিঃ) মীর শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ৩৫, তারিখঃ ২৮/১০/২০২০ইং। ধারা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ২৫/২৮/৩১। উগ্রপন্থীদের ক্রমাগত হুমকির মুখে বুধবার রাতে দিপ্তী রানী দাস ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
একই দিন রাতে রেলওয়ে থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত দিপ্তী রানী দাসকে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোঃ মোকলেছুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ এমদাদুল হক দিপ্তী রানীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন।