চার সন্তানের মা, তার ১৪ বছরের মেয়ে এবং চল্লিশোর্ধ ননদকে পাশবিক নির্যাতন করলো সন্ত্রাসীরা। বরিশাল সদরে চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর এটাই এ পর্যন্ত ঘটা সবচেয়ে বড় ঘটনা। শনিবার রাতের এ ঘটনা রবিবার সকালে নগরীতে জানাজানি হয়। এ ঘটনা নগরীর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। কোতয়ালী পুলিশ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত কিছুই জানেনা বলে জানায়।
এ তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের। পাশবিক নির্যাতনের শিকার ঐ কিশোরী জানায়, কয়েকদিন আগে সন্ত্রাসীরা তাদের নবনির্মিত বাড়ীতে এসে হানা দেয়। তারা তাদের নেমে যেতে বলে বাড়ী থেকে। সেই সাথে লুট করে নিয়ে যায় বাড়ীর মালামাল। এ ঘটনার পর তার বাবা ১৬ বছরের বড় বোনকে অন্যত্র তার এক আত্মিয় বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। মিস্ত্রি পদবীর এ বাড়ীটিতে শনিবার গভীর রাতে ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী হামলা করে। তারা বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা তার বাবা মা ও পিসিকে মারধর করে। তারপর তার বাবাকে কয়েক সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাইরে নিয়ে যায়। তার পর তার মা ও পিসিকে বাড়ীর ভিতরে পাশবিক নির্যাতন করে।
চতুর্দশী কিশোরীকে তারা জোর করে পাশের বাগানে নিয়ে গণহারে পাশবিক নির্যাতন করে। সন্ত্রাসীরা যাবার আগে এ ঘটনা কাউকে বললে ভারতে পাঠিয়ে দেবার হুমকি দেয়। রবিবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার কিশোরীটি বরিশালে মহিলা পরিষদের এক নেত্রীর কাছে এলে তাকে সরকারের নির্যাতিতা মহিলা সহায়তা কর্মসূচীর হোমে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৫ অক্টোবর ২০০১