রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১১ এপ্রিল রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়ার মাদ্রাসায় বলাৎকারের ঘটনা ঘটে। ১৩ এপ্রিল শনিবার বিকেলে পুলিশ শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করে।

অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বাগমারা উপজেলার নাজিরপুর এলাকার লোকমান আলীর ছেলে। তিনি খলিসাকুড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক আবদুল হান্নানের পরিবর্তে পাঠদান করছিলেন বলে জানা যায়।

জানা যায়, বলাৎকারে শিকার মাদ্রাসা ছাত্র বাগমারা উপজেলার বালিয়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ছেলে (১২)। গত দুই বছর যাবৎ সে ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় মামলা (নং-১২/১৩-৪-১৯) মামলা করেছেন।

পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, গত ১১ এপ্রিল মাদ্রাসার সকল ছাত্র ঘুমিয়ে পড়লে রাত পৌনে ২টায় ওই ছাত্রকে ডেকে তুলে নিজ কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে ওই শিক্ষক। এরপর বিষয়টি কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়। ১২ এপ্রিল মাদ্রাসার অপর ছাত্র জাহিদের কাছে বিষয়টি জানালে জাহিদ ঘটনাটি ওই ছাত্রের বাবাকে মোবাইলে জানায়। ছাত্রের বাবা ঘটনা জানার পর বিষয়টি পুঠিয়া থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক বলাৎকারে বিষয়টি স্বীকার করেননি।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি নুর মোহম্মদ জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক হান্নানের মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ১০ দিনের জন্য আরিফুল ইসলাম তার পরিবর্তে সেখানে পাঠদান করাতে এসেছিলেন। ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ওই ছাত্রকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার সকালে ওই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন