লালপুরের আড়াই শ’ পরিবার প্রায় দেড় মাস ধরে পুলিশ পাহারায় রয়েছে। চাঁদার দাবিতে হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের শিকার হওয়ার পর এসব পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গ্রামগুলো হচ্ছে দিলালপুর, গোবরবাড়ী, ইসলামপুর ও নর্থবেঙ্গল সুগার মিল চত্তরের সুইপার কলোনি। দিলালপুরের দেড় শ’ পরিবার, গোবরবাড়ী ইসলামপুরের ৬৫০ পরিবার ও সুইপার কলোনিতে ৪০ পরিবারকে সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ পাহারায় থাকতে হচ্ছে। এর আগে বড়াই গ্রামের হারোয়া ও ছাতিয়ানগাছার ৬৫টি খ্রীস্টান পরিবার এবং গুরুদাসপুরের যোগেন্দ্রনগরে ৪২টি হিন্দু পরিবারও মাসাধিককাল পুলিশ পাহারায় থেকেছে। পরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় এসব এলাকা হতে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়। তবে পুলিশ প্রত্যাহারের পর ৬৫ খ্রীস্টান ও ৪২ হিন্দু পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলেও সন্ত্রাসীদের বেশির ভাগই এখন পর্যন্ত আটক হয়নি। তারা বাইরে থেকে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ২০ জানুয়ারি ২০০২