নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লায় কমিউনিটি পুলিশের সম্পাদকের বাড়িতে এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

 

২৯ জুন মঙ্গলবার রাতে রামারবাগে ফতুল্লা মডেল থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে বলে মেয়েটির অভিযোগ।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার নদুনেফরা গ্রামের মজিব মিয়ার ছেলে ও ফতুল্লা মডেল থানার কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের ভাড়াটিয়া নুরে আলম (২৫) ও একই জেলার কামারহাট গ্রামের আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে ফতুল্লার সস্তাপুর কাস্টমস রোডে একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রাজু মিয়া (৩২)।

মামলায় মেয়েটির অভিযোগ, তিনি স্থানীয় একটি স্পিনিং মিলে কাজ করেন এবং নুরে আলমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে রামারবাগে কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালের বাড়ির ভাড়াটিয়া নুরে আলমের সঙ্গে দেখা করতে যান।

অভিযোগে বলা হয়, সেখানে গেলে তাকে নূরে আলমের সঙ্গে বিয়ে করানোর কথা বলে অপেক্ষা করতে বলেন এবং বিয়ের টাকা জোগাড় করতে নুরে আলম তাকে বন্ধুদের কাছে রেখে বের হয়ে যান। এক পর্যায়ে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামিরা তাকে শিবু মার্কেট এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন কিশোরী।

মামলার বরাতে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, প্রেমিকের বন্ধুদের হাতে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই কিশোরী তার বাবাকে নিয়ে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় এসে জানালে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।”

ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মন্তব্য করুন