ফরিদপুরে ভাঙ্গা থানায় অতর্কিত হামলায় দুই উপপরিদর্শকসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ২৭ মার্চ শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ২৫০ থেকে ৩০০ জন অতর্কিত ভাঙ্গা থানায় হামলা চালিয়ে থানার গেট ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশের দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

 

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ (৪৭), উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ (৩৫), সহকারি উপপরিদর্শক আজিজুল রহমান (৩৩), কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন (৩৫), শাহ জালাল (২৭) ও মতিউর রহমান (৪৩)।

তাদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ হামলা পরিকল্পিত। আমরা বিভিন্ন মাদ্রাসায় আগে থেকেই যোগাযোগ করেছিলাম। তারা কথা দিয়েছিলেন তারা কোনো আন্দোলন করবেন না। কিন্তু কথার বরখেলাপ করে অতর্কিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙ্গা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ সফরের পর ভিআইপিরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়েই ঢাকা ফিরবেন। সেটি পণ্ড করতেই এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।’

‘আমরা জানতে পেরেছি হেফাজতে ইসলাম ও চরমোনাইয়ের অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো নেতা এ ব্যাপারে জড়িত বলে স্বীকার করেননি। তবে যারা এ আন্দোলন সংঘবদ্ধ করেছেন তাদের পরিচয় আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি,’ যোগ করেন তিনি।

এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করবে জানিয়ে আলিমুজ্জামান বলেন, ‘মামলার পর আমরা সংঘবদ্ধকারীদের পরিচয় প্রকাশ করতে পারবো।’

ভাঙ্গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর সোয়া ২টার দিকে জোহরের নামাজের পর ভাঙ্গা থানার কাছে জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম ঈদগাঁ মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি ভাঙ্গা বাজার ঘুরে বিশ্বরোড এলাকায় যায় এবং ফিরে ঈদগাঁ মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়। মিছিলকারীরা ওই মাঠ থেকে লাঠি সংগ্রহ করে ভাঙ্গা থানায় হামলা করে।

হামলা ঠেকাতে গিয়ে দুই উপপরিদর্শক, এক সহকারি উপপরিদর্শকসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে, ব্যারাক থেকে পুলিশ এসে শটগানের গুলি ছুঁড়ে হামলার অন্তত ৪০ মিনিট পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

দ্য ডেইলি স্টার

মন্তব্য করুন