কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে থানায় শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বিধবা নারীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় আহত হয়েছেন তিন জন। তাদের মধ্যে দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

২৮ আগস্ট শনিবার সকাল ৮টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের (৩৬) নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এসময় তারা বাড়ির দরজা, জানালা ও বেড়া ভাংচুর করে। বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হয়েছেন তার শাশুড়ি ও দুই দেবর। তাদের মধ্যে শাশুড়ি ও এক দেবরকে ফুলবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে ‌একা পেয়ে ওই নারীকে নুর মোহাম্মদ জোরকরে টানহেচড়া করেন। ভুক্তভোগী নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান নুর মোহাম্মদ। এ ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। তার একদিন পরই অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ দলবল নিয়ে ওই নারীর বাড়িতে হামলা চালায়।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে। প্রধান অভিযুক্তসহ অন্যদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও আহত করার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার।

দ্য ডেইলি স্টার

মন্তব্য করুন