ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় এক অটোরিকশাচালককে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১ জানুয়ারি শুক্রবার ফেনীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. রাসেল (৩২) নামের অন্য এক ব্যক্তি পলাতক আছেন।
ওই অটোরিকশাচালকের নাম খুরশিদ আলম (৩৫)। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা ও অটোরিকশাচালক।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী বুধবার বিকেলে চিকিৎসক দেখাতে ফেনী শহরে যায়। রাত ৯টার দিকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার জন্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে। ওই অটোরিকশায় আরও একজন যাত্রী ছিলেন। তিনি মাঝপথে নেমে যাওয়ার পর যাত্রী হিসেবে কিশোরী একাই অটোরিকশায় ছিল। অটোরিকশাচালক খুরশিদ আলম নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করেন। রাত প্রায় ১টার দিকে কিশোরীকে তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। খুরশিদ তাঁর বন্ধু মো. রাসেলকে ফোন করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর রাতে দুই বন্ধু মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এক ফাঁকে ওই কিশোরী খুরশিদের বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে ফিরে দাগনভূঞা থানায় মামলা করে মেয়েটি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে ওই কিশোরী বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খুরশিদ আলম ও রাসেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত আসামি খুরশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।